যেমন গুগল Keep, Notion, কিংবা WhatsApp— আমরা অফলাইনে অনেক সময় অনেক কিছু লেখি,, সেগুলো আবার অনলাইনে আসতেই কীভাবে সার্ভারের সাথে মিলিয়ে ফেলে।
আসলে এর পেছনে কাজ করে Offline-First Architecture, Local Database, Sync Queue, এবং smart conflict resolution techniques।
প্রথমে ব্যবহারকারী যেকোনো কিছু লিখলে বা অ্যাকশন নিলে অ্যাপ সেটিকে সরাসরি লোকাল ডাটাবেজে সেভ করে। মোবাইল অ্যাপগুলো সাধারণত SQLite/CoreData, আর ওয়েব অ্যাপগুলো IndexedDB বা Cache Storage ব্যবহার করে। এতে ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যবহারকারী কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
অ্যাপ সবসময় ডিভাইসের নেটওয়ার্ক Status দেখে। অফলাইনে থাকলে সব পরিবর্তন Pending Sync Queue-তে জমা হয়। অনলাইনে ফিরলেই Background Sync চালু হয় একে একে সব pending changes সার্ভারে পাঠানো হয়।
সার্ভার কোন অ্যাকশন গ্রহণ করলে তা লোকাল কিউ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এবং UI আপডেট হয়। WhatsApp-এর offline message sending বা Keep/Notion-এর offline note sync হওয়ার পেছনে এই প্রক্রিয়াই কাজ করে।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো conflict resolution। দুই ডিভাইস বা দুই ব্যবহারকারী যদি একই ডাটা একসাথে পরিবর্তন করে, তখন অ্যাপকে কোন পরিবর্তন আগে নেবে তা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক অ্যাপ timestamp ও version number দিয়ে smart merging করে।
Google Docs এর মতো collaborative অ্যাপ ব্যবহার করে Operational Transformation (OT), আর Notion বা Figma এর মতো modern collaborative system ব্যবহার করে CRDT (Conflict-free Replicated Data Types)। এগুলো real-time multi-user editing-এর backbone।
ডাটা সিঙ্ককে আরও কার্যকর করতে অনেক অ্যাপ পুরো ডাটা না পাঠিয়ে শুধু পরিবর্তনগুলো পাঠায়—এটাকে বলা হয় Delta Sync বা Incremental Sync। এতে bandwidth বাঁচে, performance বাড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Optimistic UI। ব্যবহারকারী কোনো অ্যাকশন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে UI-তে পরিবর্তন দেখায়, সার্ভারের approval-এর জন্য অপেক্ষা করে না। পরে যদি সার্ভার reject করে, তখন rollback হয়। WhatsApp-এ message টাইপ করার পর ✔→✔✔ আপডেট হওয়া এই প্যাটার্নেরই উদাহরণ।
নেটওয়ার্ক যদি unstable হয়, Sync request গুলো কয়েকবার retry করা হয়। তবে প্রতিবার একটু বেশি সময় অপেক্ষা করে—এটাকে বলা হয় Exponential Backoff—যাতে সার্ভার অতিরিক্ত লোডে পড়ে না।
সব মিলিয়ে, পুরো সিস্টেমটি এমনভাবে তৈরি হয় যেন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা কখনো থেমে না যায়। ব্যবহারকারী offline হোক বা online—data আগে লোকালি সেভ হয়, পরে server-এর সাথে sync হয়।
Comments
Post a Comment